1. admin@dainikgoyendarchokh.com : goyadmin :
স্কুলের প্রধান শিক্ষক একই দিন প্রশিক্ষণ নেন দুই জায়গায় - দৈনিক গোয়েন্দার চোখ
রবিবার, ২৫ মে ২০২৫, ০৪:২০ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
নীলফামারীতে জমি সংক্রান্ত বিষয়ে পক্ষ বিপক্ষে হানাহানি খুনাখুনি বেড়েই চলেছে প্রশাসনিক শুদ্ধতায় আপসহীন এক নারী প্রকৌশলী ডোমারে চার দফা দাবিতে কেমিস্ট এন্ড ড্রাগিস্টস সমিতির মানববন্ধন সরকারি নির্দেশনা যথাযথ ভাবে পালন করছেন না প্রধান শিক্ষক ২৪ মে, তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশ সফল করতে নীলফামারী জেলা ছাত্রদলের প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত বোয়ালখালীতে ৫০ শয্যার হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন ধারণক্ষমতার দ্বিগুণ রোগী পঞ্চগড়ে ৩ শিক্ষার্থী ও ১৩ শিক্ষক নিয়ে চলছে মাদরাসা জলঢাকায় এনসিপির কার্যালয় উদ্বোধন দিনাজপুরে লিচুর বাম্পার ফলন হাকিমপুরে পেশাদার চোরের ধারালো ছোরার আঘাতে জখম এক নারী

স্কুলের প্রধান শিক্ষক একই দিন প্রশিক্ষণ নেন দুই জায়গায়

  • প্রকাশিত: সোমবার, ২০ জানুয়ারী, ২০২৫
  • ৬৪ বার শেয়ার হয়েছে

নীলফামারী প্রতিনিধি : নীলফামারীর ডোমারে প্রভাব খাটিয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষকের দুটি সরকারি প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলা লিডারশিপ ট্রেনিংয়ে অংশগ্রহণ করেন ২৫ জন প্রধান শিক্ষক। তারমধ্যে তিনজন প্রধান শিক্ষক তথ্য গোপন করে ভোটার তথ্য সংগ্রহ সুপারভাইজার পদে একই দিনে প্রশিক্ষণ গ্রহন করেন। এ নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

অভিযুক্ত শিক্ষকরা হলেন, পশ্চিম বোড়াগাড়ি ২নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হুমায়ুন কবীর, চিকনমাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফরিদ হোসেন ও উত্তর গোমনাতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোবারক আলী।

জানা যায়, ডোমার উপজেলা শিক্ষা অফিসের মাধ্যমে উপজেলা রিসোর্স টেনিং সেন্টারে প্রতিবছর শিক্ষকদের বিভিন্ন প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এরমধ্যে গত ৬ই জানুয়ারী থেকে ২০শে জানুয়ারী প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন প্রধান শিক্ষকরা। গত ১৫ই জানুয়ারী লিডারশীপ টেনিংয়ে স্বাক্ষর করে। একই দিনে ভোটার তথ্য সংগ্রহ সুপারভাইজার পদে প্রশিক্ষনেরও স্বাক্ষর করেন তারা। প্রশিক্ষণ চলাকালীন অভিযুক্ত তিনজন প্রধান শিক্ষক তথ্য গোপন করে ভোটার তথ্য সংগ্রহ সুপারভাইজার পদ ও লিডারশীপ টেনিংয়ে দুই জায়গায় স্বাক্ষর করে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন।

এবিষয়ে জানতে চাইলে, পশ্চিম বোড়াগাড়ি ২নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হুমায়ুন কবীর বলেন, দীর্ঘ ১৭ বছরে ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে আমি নির্বাচনী ডিউটিতে অংশগ্রহণ করতে পারিনি। বঞ্চিত ছিলাম সমস্ত সুযোগ-সুবিধা থেকে। আমি ১৯৯৬-৯৮ পর্যন্ত ছাত্রদল করতাম, এটাই ছিল আমার অপরাধ। আমি বিএনপির আন্ডারগ্রাউন্ড একজন বড় নেতা। তবে একই দিনে দুই জায়গায় স্বাক্ষরের বিষয় তিনি বলেন, একই দিনে দুই জায়গায় স্বাক্ষর করাটি আমার ঠিক হয়নি। আমি এটা নির্বাচন অফিসারের কাছে শেয়ার করবো।

পরে এবিষয়ে জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিএনপি নেতা বলেন, কিসের হুমায়ূন কবীর বিএনপির আন্ডারগ্রাউন্ডের নেতা। উনি তো আওয়ামী লীগ নেতা ও উপজেলা চেয়ারম্যান তোফায়েল আহমেদের খুব কাছের বন্ধু ছিল এবং সর্বোচ্চ সুবিধা নিয়েছে।

উপজেলা রিসোর্স টেনিং সেন্টারের কর্মকর্তা অর্চনা রানী মন্ডল বলেন, আমার এখানে শিক্ষকরা আগে ডেপুটেশন শুরু করেছেন। আমার এখানে ডেপুটিশন থাকা সত্ত্বেও উপজেলা নির্বাচন অফিসার তাদেরকে সিলেক্ট করল কেন? এটা উপজেলা নির্বাচন অফিসার জবাব দিবে। তারা সেদিন এখানে স্বাক্ষর করে চলে যান বিষয়টি আমি পরে জানতে পারি। এবিষয়ে আমি কিছু বলতে পারব না জেলা শিক্ষা অফিসার মহোদয়কে আমি বিষয়টি জানাবো।

এবিষয়ে উপজেলা নির্বাচন অফিসার নূরে আলম বলেন, ট্রেনিংয়ের দিন সকাল ৯টা থেকে ৫টা পর্যন্ত তারা আমার এখানে উপস্থিত ছিল। তারা লিডারশিপ ডেপুটিশনে আছে এটা আমার জানা ছিল না। যদি তারা একদিনে দুই জায়গা প্রশিক্ষন নেন, তাহলে এখানকার প্রশিক্ষনের বিল তাদের দেওয়া হবে না।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© All rights reserved © 2019
কারিগরি সহযোগিতায়: জাগো হোষ্টার বিডি