এম এ মালেক, নীলফামারী :
নীলফামারী সদরের চওড়া ইউনিয়নের দক্ষিণ চওড়া বোড বাজার এলাকায় জমি সংক্রান্ত ঘটনায় পক্ষ বিপক্ষে মারামারিতে একই পরিবারের ৭ জন জখম অবস্থায় নীলফামারী মেডিকেল হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে।
ঘটনার সরজমিনে জানা যায় দক্ষিণ চওড়া বোডের হাট এলাকার বাসিন্দা আব্দুর রাজ্জাক নিজ ছোটভাইয়ের স্ত্রীর পরকীয়ার জেরে নিজের স্ত্রী সন্তান রেখে বাড়ি ছেড়ে আপন ভাই আলমগীর মাস্টারের বাড়িতে ওঠেন, এবং সেখানেই দীর্ঘ ৪ বছর ধরে বসবাস করে আসছে, এরইমধ্যে গতকাল রাজ্জাকের বড় ছেলে আফতারুল তাদের বাঁশ বাগানের বাঁশ কাটতে গিয়ে আপন চাচা আলমগীর মাস্টার, ইরান মাস্টারের বাঁধার কারণে ফিরে আসেন, পরে রাতের বেলায় বোডের বাজারে আফতারুলের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হোটেলে আক্রমণ চালিয়ে হোটেল ভাংচুর ও আক্তারুল কে রক্তাক্ত জখম করেন, এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করে প্রথমে নীলফামারী মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করান এবং শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। হোটেলের কর্মচারী জাহিদুল ইসলাম জানান, প্রথমে সন্ধ্যায় ইরান মাস্টার ও আলমগীর মাস্টার দোকানে এসে ভাতিজা আকতারুল কে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে, আক্তারুল প্রতিবাদ করতে গেলে তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে দোকান ভাংচুর করে, এলাকাবাসী এগিয়ে এলে তারা সেখান থেকে সটকে পড়ে। পাড়ার বাসিন্দা মোমেনা বেগম বলেন, ঘটনার আসল বিষয় হলো আকতারুলের বাবা আব্দুর রাজ্জাক ছোটভাইয়ের স্ত্রীর পরকীয়ায় জরিয়ে নিজ বাড়ি ছেড়ে ছোটভাইয়ের বাড়িতে বসবাস শুরু করেন এবং তার সকল সম্পত্তি স্ত্রী পুত্র কে না দিয়ে ছোট দুই ভাইকে দলিল করে দেন, এটা নিয়ে কয়েক মাস থেকে বিচার আচার চলে আসছে, তারই ধারাবাহিকতায় গতকাল বাঁশ কাটাকে কেন্দ্র করে মারামারির ঘটনা ঘটে, এবং আলমগীর মাস্টারের ছুরির আঘাতে ভাতিজা আফতারুল রক্তাক্ত জখম হয়। ঐ দিন রাতেই নীলফামারী সদর থানায় আক্তারুলের পরিবার থেকে এজাহার দেয়া হয়েছে। এদিকে আলমগীর মাস্টারের পরিবার গত ২৪ মে সদর হাসপাতালে ভর্তি হন। এবিষয়ে আলমগীর মাস্টার মুঠো ফোনে বলেন, মামলার কারণে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে এখন উকিলের কাছে এসেছি, তাকে শারিরীক ক্ষতির কথা জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, আমার তেমন কিছু হয়নি, শুধু মামলা করার জন্য হাসপাতালে ভর্তি হয়েছি। রাজ্জাকের স্ত্রী জাহানারা বেগম জানান, তাবিজ করে তার স্বামীকে বশ করে জমিজমা লিখে নেয় আলমগীর মাস্টার এবং দলবদ্ধ হয়ে তারা আমার ছেলে আফতারুলের দোকান ভাংচুর করে এবং তাকে ফেলতে রক্তাক্ত জখম করে, এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করে মেডিকেলে ভর্তি করায়। এঘটনার পরে এলাকা থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে, এলাকাবাসী প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চাচ্ছে।
Leave a Reply