মোহাম্মদ মাহাবুব আলম, স্টাফ রিপোর্টার : ‘সবসময় বলতো আমি মুজিবের বেটি আমি পালাইনা, শেষমেশ জীবন নিয়ে নেতাকর্মীদের ছেড়ে দিয়ে পালিয়ে গিয়েছেন স্বৈরাচার আওয়ামী সরকার।’ বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর পঞ্চগড়ের জনসভায় এমন মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, পালিয়ে গিয়ে হাসিনা ভারত থেকে ষড়যন্ত্র করছে। মিথ্যা প্রচারণা করে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির পাঁয়তারা করছেন। এ কারণে দেশে এখনো বিপদ কাটেনি। আমাদের হিন্দু ভাইয়েরা বসে আছেন। এই দেশে নাকি আপনাদের ওপর অত্যাচার হচ্ছে, নির্যাতন হচ্ছে। কারও কাছে চাঁদা চাওয়া হচ্ছে। আপনারা বলেন তো— এরকম কোথাও কি হয়েছে, হয়নি। আমরা এ অঞ্চলের মানুষ শান্তিপ্রিয়। হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান সবাই একসঙ্গে বসবাস করি।
রোববার (২২ ডিসেম্বর) বিকালে পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার সাকোয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জনসভায় এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, সেনাবাহিনী শেখ হাসিনাকে দুটো চয়েস দিয়েছিল। দুটোর মধ্যে একটাকে বেছে নেবেন। একটা হচ্ছে— চারিদিক থেকে জনগণ আসছে। উত্তাল সমুদ্রের মতো তাদের দ্বারা কি পিষ্ঠ হবেন, নাকি জীবন বাঁচানোর জন্য পালিয়ে যাবেন। আমি পালাই না, আমি ভয় পাই না— বলা সেই মহিলা জীবন বাঁচানোর জন্য নেতা-কর্মীসহ সবাইকে বিপদে ফেলে পালিয়ে গেছে। এই হচ্ছে ফ্যাসিবাদের পরিণতি।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, গত পনেরো বছর কেউ ভোট দিতে পেরেছেন, পারেননি। আমরা জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে চাই।দেশকে গড়ে তুলতে চাই। শেখ হাসিনা নির্বাচনের নাম করে ক্ষমতায় যায়। পরে গুম-খুন করে শেখ হাসিনা জোর করে ক্ষমতায় ছিল। এটাই হচ্ছে ফ্যাসিবাদী সরকার।
সমাবেশে বিএনপি নির্বাহী কমিটির পল্লি উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক ও জেলা বিএনপির সদস্য সচিব ফরহাদ হোসেন আজাদের সভাপতিত্বে বিএনপি নেতা ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন, বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও প্রখ্যাত কণ্ঠশিল্পী বেবী নাজনীন, সাবেক মন্ত্রী ও বিএনপির রংপুর বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুলু বক্তব্য রাখেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির আন্তজার্তিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার মোহাম্মদ নওশাদ জমির, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক জাহিরুল ইসলাম কাচ্চু, পঞ্চগড় জেলা যুবদলের সভাপতি ফেরদৌস ওয়াহিদ রাসেল ও অসাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান বাবু, এবং অন্যান্য জেলার নেতাকর্মীরা।
Leave a Reply