1. admin@dainikgoyendarchokh.com : goyadmin :
নীলফামারীতে বেকায়দায় ফেলে সংবাদকর্মীর কাছ থেকে চেক নিলেন দূর্বৃত্তরা সাংবাদিকদের মিশ্র প্রতিক্রিয়া - দৈনিক গোয়েন্দার চোখ
শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫, ১১:০৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
ডোমারে চার দফা দাবিতে কেমিস্ট এন্ড ড্রাগিস্টস সমিতির মানববন্ধন সরকারি নির্দেশনা যথাযথ ভাবে পালন করছেন না প্রধান শিক্ষক ২৪ মে, তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশ সফল করতে নীলফামারী জেলা ছাত্রদলের প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত বোয়ালখালীতে ৫০ শয্যার হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন ধারণক্ষমতার দ্বিগুণ রোগী পঞ্চগড়ে ৩ শিক্ষার্থী ও ১৩ শিক্ষক নিয়ে চলছে মাদরাসা জলঢাকায় এনসিপির কার্যালয় উদ্বোধন দিনাজপুরে লিচুর বাম্পার ফলন হাকিমপুরে পেশাদার চোরের ধারালো ছোরার আঘাতে জখম এক নারী ডোমারে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত-১ সংগীতশিল্পী বিধান দাস ও দোলন জলদাসকে বিনয়বাঁশী শিল্পীগোষ্ঠীর অভিনন্দন

নীলফামারীতে বেকায়দায় ফেলে সংবাদকর্মীর কাছ থেকে চেক নিলেন দূর্বৃত্তরা সাংবাদিকদের মিশ্র প্রতিক্রিয়া

  • প্রকাশিত: বুধবার, ১৯ মার্চ, ২০২৫
  • ১৪০ বার শেয়ার হয়েছে

নীলফামারী প্রতিনিধি :

সংবাদকর্মী কে বেকায়দায় ফেলে চেকে স্বাক্ষর করে নিলেন দূর্বৃত্তরা। ঘটনার বিবরণে জানা যায়, গত ১২ফেব্রুয়ারী/২৫ জলঢাকা উপজেলা রিপোর্টার্স ইউনিটির প্রতিষ্ঠাতা ও বর্তমান সভাপতি মো, বাদশা শাজাহান কে থানায় নিয়ে গিয়ে বেকায়দায় ফেলে তিন চেকে সই করে নেন সুপারি ব্যবসায়ী আসাদুল হক মাস্টার। ইহাতে ক্ষ্যান্ত হয়নি আসাদুল হক মাস্টার এই চেক নেয়ার পরও গত ১৪ মার্চ শুক্রবার বিকালে ৮/১০ জন ভারাটে লোক সাথে নিয়ে সাংবাদিক বাদশাহ শাজাহান এর বাসায় ভিতরে প্রায় এক ঘন্টার বেশি সময় অবস্থান করে এবং সাংবাদিক বাদশাহ শাহজাহানসহ তার পরিবারকে হুমকি দেয়। এবং দুই দিনের মধ্যে সাংবাদিক বাদশাহ শাহজাহান টাকা দিতে হবে বলে হুমকি দেন এর ব্যতিক্রম হলে তাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে মারধর ও গুম করার হুমকি দেয়। সবশেষ গত ১৭ মার্চ সোমবার দুপুরে সাংবাদিক বাদশাহ শাহজাহান এর বাসার সামনে আসাদুল হক মাস্টার এর একজন ভাই, একজন ভগ্নিপতি, একজন দোকানের কর্মচারী ও এক বন্ধুকে নিয়ে বাড়ির সামনে হ্যান্ডমাইকে অকথ্য ভাষায় কথা বলেন, সুশীল সমাজের দাবি বিষয়টি থানায় আলোচনা হবার পর কেন একজন সাংবাদিকের বাড়ির সামনে এভাবে হ্যান্ড মাইকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা এর আগে কখনো শুনিনি।‌
জানা যায়, ইতিমধ্যেই কোটি টাকার অধিক লেনদেন হয়েছে আসাদুল হক মাস্টারের সাথে ঠিকাদার আলহাজ্ব মিজানুর রহমানের ।
এরমধ্যে সরকার পরিবর্তন হলে সম্পর্কের মাঝে তিক্ততার সৃষ্টি হয়, এরমধ্যে কেয়া কনস্ট্রাকশনের কাজ বাধাগ্রস্ত করে কাজ বন্ধ করে দেন আসাদুল মাস্টার, ব্লাক মেইল করে ঠিকাদারের ভায়রাভাই বাদশা শাজাহান কে বাধ্য করে তিন চেক নেয় আসাদুল মাস্টারের লোকজন। এবিষয়ে কেয়া কনস্ট্রাকশনের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ব্যক্তি বলেন, আসাদুল মাস্টার লোক হিসেবে ভালো কিন্তু মাসুম ফকিরের সম্পৃক্ততার সাথে সাথে এই ঘটনার সৃষ্টি হয়। বাদশাহ শাজাহান ও আসাদুল মাস্টারের খুবই ভালো সম্পর্ক ছিল এবং সম্পর্কে তারা বেয়াই হয়।
এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন জেলা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি ও আনন্দ টিভির প্রতিনিধি স্বপ্না আক্তার স্বর্ণালি শাহ্ এবং সাধারণ সম্পাদক ও আমার সংবাদ এর প্রতিনিধি আল আমিন। এ বিষয়ে স্বপ্না আক্তার স্বর্ণালি শাহ বলেন, কোনভাবেই একজন মানুষকে জিম্মি করে চেক এ স্বাক্ষর নিতে পারেন না। তবুও আবার থানার ভেতরে। তাই মাননীয় জেলা পুলিশ সুপার এর কাছে এই ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করতে প্রশাসনিক তদন্ত কমিটি গঠনের আহবান জানান। ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন, দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি দীপক আহমেদ, দৈনিক দেশ বর্তমান প্রতিনিধি আল ফারুক পারভেজ উজ্জ্বল, দৈনিক আমাদের সময় প্রতিনিধি রেজাউল করিম রঞ্জু, নীল সিমান্তের নির্বাহী সম্পাদক আব্দুর রশিদ, মর্ণিং গ্লোরীর প্রতিনিধি আবু হাসান, গ্লোবাল টেলিভিশনের প্রতিনিধি সোহেল রানা, উত্তরবঙ্গের সংবাদের প্রতিনিধি আব্দুল মালেক, এশিয়ান টিভি ও সাপ্তাহিক নীল চোখের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ওবায়দুল ইসলাম। তারা ঘটনার সুষ্ঠু নিরপেক্ষ তদন্ত করে দোষীদের দৃষ্টান্ত মূলক বিচারের দাবি জানান।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© All rights reserved © 2019
কারিগরি সহযোগিতায়: জাগো হোষ্টার বিডি