1. admin@dainikgoyendarchokh.com : goyadmin :
কেন্দুয়ার পলাশ তিন সন্তানের জননীকে নিয়ে উধাও - দৈনিক গোয়েন্দার চোখ
শনিবার, ২৪ মে ২০২৫, ০১:২৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
ডোমারে চার দফা দাবিতে কেমিস্ট এন্ড ড্রাগিস্টস সমিতির মানববন্ধন সরকারি নির্দেশনা যথাযথ ভাবে পালন করছেন না প্রধান শিক্ষক ২৪ মে, তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশ সফল করতে নীলফামারী জেলা ছাত্রদলের প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত বোয়ালখালীতে ৫০ শয্যার হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন ধারণক্ষমতার দ্বিগুণ রোগী পঞ্চগড়ে ৩ শিক্ষার্থী ও ১৩ শিক্ষক নিয়ে চলছে মাদরাসা জলঢাকায় এনসিপির কার্যালয় উদ্বোধন দিনাজপুরে লিচুর বাম্পার ফলন হাকিমপুরে পেশাদার চোরের ধারালো ছোরার আঘাতে জখম এক নারী ডোমারে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত-১ সংগীতশিল্পী বিধান দাস ও দোলন জলদাসকে বিনয়বাঁশী শিল্পীগোষ্ঠীর অভিনন্দন

কেন্দুয়ার পলাশ তিন সন্তানের জননীকে নিয়ে উধাও

  • প্রকাশিত: শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫
  • ২২ বার শেয়ার হয়েছে

খালিদ সাইফুল্লাহ প্রিন্স, কেন্দুয়া (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি : নেত্রকোণার কেন্দুয়া উপজেলার দলপা ইউনিয়ন দলপা গ্রামের দক্ষিণ পাড়ার মোঃ পলাশ মিয়া অনলাইন টিকটকার রাঙামাটি জেলার তিন সন্তানের জননীকে নিয়ে কয়েক মাস যাবৎ উধাও রয়েছেন। এব্যাপারে গত ২০২৪ সালের ২৩শে নভেম্বর ঐ নারীর স্বামী মোঃ সোহেল মিয়া রাঙামাটি থানায় একটি জিডি করেন।

জিডিতে উল্লেখ করেন, গত ১০ আগস্ট ২০২৪ ইং রাঙামাটি জেলার মোঃ সোহেল মিয়ার স্ত্রী বাড়ি থেকে টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে উধাও হয় এবং একদিন তার ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করা হলে তাকে সন্তাদের দোহাই দিয়ে ফিরে আসার অনুরোধ করলে আসবে আসবে বলে আর আসেনি । এর কিছুদিন পর তাঁর স্ত্রী অর্থাৎ বিবাদী স্বপ্না বেগম ০১৭৩৮৮৮৯৫৬৪ ও ০১৮৮৩০৪১১৩৩ মোবাইল কলে জানায়, নেত্রকোণার কেন্দুয়ায় দলপা ইউনিয়নের দলপা গ্রামে রয়েছে । ওখানেই বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছে । তাকে যেনো খুঁজাখুঁজি না করা হয়, যদি করা হয় তাহলে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেয়ার হুমকি প্রদান করেন । এমতাবস্থায় মোঃ সোহেল মিয়া নিরাপত্তাহীনতায় আইনের দ্বারস্থ হন।

জিডি আবেদনকারী মোহাম্মদ সোহেল বলেন- জিডিতে উল্লেখিত মোবাইল নাম্বারের মাধ্যমে জানা যায় যে- নাম্বারগুলো দলপা ইউনিয়নের দলপা গ্রামের আব্দুল মালেকের ছেলে মোঃ পলাশ মিয়া। তিনি আরো বলেন- টিকটকার পলাশ মিয়া ও বিবাদী স্বপ্না বেগমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে । পরে পলাশ মিয়া চাকরি দেয়ার কথা বলে স্বপ্না বেগমকে তার কাছে নিয়ে যায় ।

১৯ ফেব্রুয়ারি বুধবার দুপুরে দলপা গ্রামে সরেজমিনে গিয়ে পারিবারিক ও স্থানীয় সূত্রে এর সত্যতা পাওয়া যায়। পলাশের পরিবারের সদস্য ও স্থানীয় লোকজন সবাই স্বীকার করে, পলাশ প্রায় তিন মাস আগে বউ নিয়ে বাড়ি এসেছিলো । তবে বর্তমানে কারো সাথেই তার যোগাযোগ নেই। এমনকি কেউ জানেন না -পলাশ এখন কোথায় আছেন পলাশের মোবাইল নাম্বার চাইলে, তার বোন শাবানা আক্তার উপরোক্ত দুটি সিম বন্ধ নাম্বার দেন এবং তিনি বলেন- এখন আমার ভাই কোথায় আছে আমরা কেউ জানিনা । পলাশের আপন ভাই গোলাপ মিয়া ও চাচাতো ভাই ফেরদৌস মিয়াও একই কথা বলেন এসময় সাংবাদিক কোহিনূর আলম উপস্থিত ছিলেন।

স্থানীয় ইউপি সদস্য (সাবেক) মোঃ রুবেল মিয়া বলেন- ঘটনা আমি শুনেছি আমি জানি । দুই তিন মাস আগে কেন্দুয়া থানা পুলিশও আমাকে ফোন করেছিলেন । তবে পলাশ এখন কোথায় আছে আমি জানিনা।

এ বিষয়ে কেন্দুয়া থানা অফিসার ইনচার্জ মিজানুর রহমানের সাথে কথা হলে তিনি তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস প্রদান করেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© All rights reserved © 2019
কারিগরি সহযোগিতায়: জাগো হোষ্টার বিডি