দুমকি প্রতিনিধি : ৭ বছর বয়সী সন্তান ফেলে পরকিয়া প্রেমিকের হাত ধরে পালিয়ে যাওয়া ডির্ভোসি স্ত্রী ফের ঘরে ফেরায় বিপাকে পড়েছেন সাবেক স্বামী রেজাউল সিকদার। ঘটনাটি ঘটেছে পটুয়াখালী জেলার দুমকি উপজেলার পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের আলগি গ্রামে। এই ঘটনায় এলাকায় বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের আলগি গ্রামের নুর মোহাম্মদ সিকদারের ছেলে রেজাউল সিকদারের সাথে পটুয়াখালী সদর উপজেলার লাউকাঠী ইউনিয়নের ঢেউখালী গ্রামের নজরুল হাওলাদারের কন্যা সুমাইয়া আক্তার সাথী বেগমের সাথে এক লাখ টাকা দেনমোহর ধার্য্য করে ২০১৬ সালের ২৮শে মার্চ পরিবারের সম্মতিতে বিয়ে হয়। তাদের ৭ বছর বয়সের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। স্বামী রেজাউল সিকদার ঢাকায় কর্মক্ষেত্রে অবস্থানের সুযোগে স্ত্রী পরকিয়ায় জড়ায়। চলতি বছরের আগস্ট মাসে পরকিয়া প্রেমিকের হাত ধরে স্বামী-সন্তান ফেলে সাথী পালিয়ে যায়। অন্তত ১৫/২০ দিনের গোপন অভিসার যাপন করে বাড়িতে আসলে স্বামী রেজাউল সিকদার তাকে (সাথী) বাড়ি থেকে বের করে দেন এবং পরদিন পটুয়াখালী নোটারি পাবলিকে এফিডেফিটের মাধ্যমে সাথীকে তালাক দেন।
পরবর্তীতে সাথীর মা ও দুই মামার পারিবারিক সমঝোতায় দেনমোহরের নগদ এক লাখ টাকা প্রদান সাপেক্ষে তালাক কার্যকর করা হয়। দেনমোহরের টাকা নেয়ার পরপরই রহস্যজনক কারণে স্বামী-সন্তান ও সংসারের দাবিতে তালাকপ্রাপ্ত সেই স্ত্রী সুমাইয়া আক্তার সাথী বেগম সম্প্রতি সাবেক স্বামী রেজাউল সিকদারের বাড়িতে ওঠায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
পরকিয়ায় পালানোর অভিযোগে তালাকপ্রাপ্তা নারী কিভাবে নির্লজ্জের মতো সাবেক স্বামীর বাড়িতে আসে এমন রসালো আলোচনা-সমালোচনায় চরম বিপাকে পড়েছেন সাবেক স্বামী রেজাউল সিকদার ও তার পরিবারের সদস্যরা।
এলাকার নির্ভরযোগ্য একটি সুত্র মতে, এলাকার একটি দুষ্টচক্র অনৈতিক সুবিধা পেতে ও রেজাউলকে বিপাকে ফেলতে তালাকপ্রাপ্ত সাবেক স্ত্রী সাথী বেগমকে ওই বাড়িতে উঠিয়ে তামাশা দেখছে।
সুমাইয়া আক্তার সাথী বলেন, আমি তালাক মানি না। কে বা কারা টাকা নিয়েছে তা জানিনা, আমি আমার সন্তান ও স্বামীর সংসারের অধিকারের দাবিতে এসেছি। আমাকে দেখে তারা স্বামী ও তার পরিবারের সদস্যরা সবাই পালিয়ে বেড়াচ্ছে কেন? আমি এই সংসারেই থাকবো, কেউ আমাকে টলাতে পারবে না। পরকিয়ায় প্রেমিকের হাত ধরে কেন পালিয়েছিল এমন প্রশ্নে বলেন, সেটা ভুল হয়েছে, সেজন্য স্থানীয় বিচার শালিসে মিমাংসা হয়েছে।
স্বামী রেজাউল সিকদার বলেন, সে আমার বর্তমানে স্ত্রী না। তার মা এবং মামাদের সামনে বসে তালাক দিয়েছি।
দুমকি থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ জাকির হোসেন বলেন,অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Leave a Reply