নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
দেশের নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলার রক্ষাকবচ হিসেবে পুলিশ বাহিনী কেবলমাত্র বলির পাঁঠা নয়, বরং জনগণের আস্থা ও প্রত্যাশার জীবন্ত অবতার। সেই পবিত্র সংগঠনকে সুসংগঠিত, দক্ষ ও সচ্ছন্দ্যশীল করতে হলে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় একেবারে পাথর-সদৃশ কঠোরতা ও সুস্পষ্ট ন্যায়পরায়ণতার অনিবার্যতা অনস্বীকার্য। ঠাকুরগাঁওয়ের ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল নিয়োগ বিতর্কে, এই মহাজটে মুখ থুবড়ে পড়ার বদলে এসপি শেখ জাহিদুল ইসলাম তার অপরিহার্য কর্তৃত্ব ও দৃষ্টান্তমূলক নেতৃত্ব দিয়ে প্রমাণ করেছেন—সত্যিকার অর্থে প্রশাসনের মর্যাদা ও জনগণের বিশ্বাস রক্ষা করা যায়।
অনিয়মের অভিযোগের ঘূর্ণিঝড়ে তোলপাড়িত এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় এসপির অবাধ্য, আত্মবিশ্বাসী ও যথার্থ প্রতিক্রিয়া উঠে এসেছে জনসাধারণের মননে এক অন্যরকম নিরাপত্তার বাণী হয়ে। “১২০ টাকায় চাকরি হয় না,” কথাটি শুধু একটি সাধারণ বিবৃতি নয়, এটি এক অনন্য অভিজ্ঞতা-সমৃদ্ধ বাস্তবতার প্রতিফলন, যা তুলে ধরে যে, ন্যায়বিচার বিক্রি হয় না, কেনাকাটা হয় না, আর কোনো দালালের দাপট দেশপ্রেম ও সততার উপর চেপে বসতে পারে না।
অন্যদিকে, প্রক্সি পরীক্ষার্থী আটক এবং অনিয়মের বিষয়ে সরাসরি তদন্তের অঙ্গীকার, জনগণের মনে সেই অনিশ্চয়তার নিকটতম প্রান্ত থেকে মুক্তির আলো জ্বালিয়েছে। মিডিয়ার প্রবল নজরদারির মাঝে এসপির এই সচ্ছতা ও সৎ পদক্ষেপ প্রশাসনের প্রতি জনগণের আস্থাকে পুনর্জীবিত করার দিশারী। বরং, এই কঠোর পদক্ষেপ ও আপোষহীন মনোভাবই প্রমাণ করে, স্বচ্ছতা ও নিয়মানুবর্তিতা পুলিশ বাহিনীর মূল ভিত্তি, যা বিকৃত বা ভ্রষ্ট হতে পারেনা।
যদিও নিয়োগে নানান অভিযোগ ও ধোঁয়াশা রয়েছে, কিন্তু এসপির পরিপক্কতা, বিচক্ষণতা ও কর্তৃত্বের কাছে এসব অভিযোগ যেন আদপে ধূলিসাৎ। এঁর দৃষ্টিতে, প্রশাসনই যেন এক কঠোর বিচারক, যার ঝাড়-ঝঁকিতে অনিয়মীরা অবলুপ্ত। নতুন প্রজন্মের জন্য এই কঠোরতা এক বিশাল প্রেরণা, যারা শুধুমাত্র যোগ্যতা ও নিষ্ঠার ওপর দাঁড়িয়ে সমাজ ও রাষ্ট্রের সেবা করবে।
অতএব, এসপির এমন এক দৃষ্টান্তমূলক পদক্ষেপ দেশের পুলিশ বাহিনীর নিয়োগ ব্যবস্থায় ন্যায়বিচারের এক নতুন যুগের সূচনা করেছে। এটাই হবে আমাদের আশা ও প্রত্যাশার একমাত্র ভিত্তি। এভাবে আমরা শুধু প্রশাসনের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করব না, দেশের গণতান্ত্রিক আদর্শ ও আইনশৃঙ্খলার অনন্য মর্যাদা রক্ষাও সম্ভব হবে।
এই কঠোর ও দায়িত্বশীল দায়িত্ববোধের অক্ষয় প্রেরণা দিয়ে, এসপি শেখ জাহিদুল ইসলাম যেমন প্রশাসনের প্রতি জনগণের আস্থা ও সম্মান বাড়িয়েছেন, তেমনি দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিয়োগ ব্যবস্থায় রূপান্তরের বাতাস বইয়ে দিয়েছেন। এটাই হবে সরকারের ও জনগণের জন্য এক ঐতিহাসিক অর্জন, যা যুগে যুগে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
Leave a Reply