মোঃ জহুরুল ইসলাম প্রতিনিধিঃ নীলফামারী সদর উপজেলার খোকশাবাড়ি ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের রামকলা বাজার সংলগ্ন মদিনা বেকারি এর বাজারজাতকৃত পণ্যে নেই উৎপাদনের তারিখ। অপরদিকে মেয়াদ উত্তীর্ণের একটি তারিখ থাকলেও তা লেখা হয় কৌশলে। বেকারির এমন অসৎ বিপণনে প্রতারিত হচ্ছেন গ্রামের সাধারণ মানুষ।
গ্রামাঞ্চলে সরকারের নজরদারি না থাকায় মদিনা বেকারি এ ধরনের প্রতারণা চালিয়ে যাচ্ছে। ফলে এ সমস্ত ছোট ছোট বেকারি গুলোর পণ্য ব্যবহারে ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন গ্রামাঞ্চলের বিশাল ক্রেতা – ভোক্তাররা।
১০ ই মে২০২৫ইং রোজ শনিবার মদিনা বেকারির প্রডাক্ট গ্রাম অঞ্চলের বিভিন্ন দোকানে বিভিন্ন আইটেমের পণ্য দিয়ে আসে বেকারির সেলসম্যান।দোকানদার মোঃ রানা ইসলাম বিষয়টি দেখে অবাক হয় তিনি দেখেন পণ্যের প্যাকেটের ভেতরের লেবেলে কোন উৎপাদন দিন নেই।
শুধু লেখা আছে, উৎপাদন দিন থেকে ৪৫ দিন। বিষয়টি বুঝতে না পারায় তিনি সেলসম্যানকে জিজ্ঞাসা করলেন এই পণ্য আমি নেব না। এটা জনসাধারণের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর হবে।এটা ফেরত নেন,মদিনা বেকারির সেলসম্যান বলেন আমি কি করবো কোম্পানি তৈরি করছে আমি সেল করতেছি আমার কিছু করার নাই।
এ বিষয়ে মদিনা বেকারির মালিক প্রোঃ মোঃ দৌলত মিয়া বলেন আমার অনুপস্থিতিতে বেকারির লেবাররা ভুল করে এই লেবেলটি ব্যবহার করেছেন। কয়েক পিস পণ্য বাজারে সেল দিয়েছি সমস্যা নাই আমার ভুল হয়েছে। আর এরকম ধরনের ভুল হবেনা বলে জানান।
নীলফামারী সদর উপজেলার স্যানিটারি অফিসার মোঃ আবু তালেব মুঠোফোনে বলেন এভাবে পণ্য বিক্রি কোন নিয়ম নেই। অবশ্যই পণ্যের উৎপাদন দিন থাকতে হবে এবং এক্সপায়ার দিন থাকতে হবে। আমরা পরিদর্শন করে অবশ্যই তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ সাইফুল ইসলাম মুঠোফোনে জানান, পণ্যের উৎপাদনের দিন ও এক্সপায়ার দিন অবশ্যই থাকতে হবে। কারণ?
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, সাধারণত উৎপাদনের তিন দিন পর এই পণ্য খাওয়ার অযোগ্য হয়ে যায়। পরে এসব খেয়ে নানা ধরনের স্বাস্থ্যহানির ঝুঁকি তৈরি হতে পারে। কারণ নির্দিষ্ট সময়ের পর এসব পণ্যে ব্যাকটেরিয়াসহ নানা জীবাণুর জন্ম নেয়। আপনি তথ্য দিন আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আইনআনুক ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
Leave a Reply