1. admin@dainikgoyendarchokh.com : goyadmin :
ফুলবাড়ী মুক্ত দিবস আজ - দৈনিক গোয়েন্দার চোখ
শনিবার, ০৭ জুন ২০২৫, ০৪:৫৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
নীলফামারীতে ৫৬ বিজিবির অপরাধ দমন,গরু চোলাচালান ও চামড়া পাচার রোধে সংবাদ সম্মেলন। ডোমারে এ্যাম্বুলেন্স সেবা চালু করলেন জমিয়ত মহাসচিব মাওলানা আফেন্দী হাকিমপুরে আইসক্রিম ফ্যাক্টরিকে জরিমানা ফুলবাড়ীতে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের শাহাদৎবার্ষিকী পালিত ঠাকুরগাঁওয়ের পুলিশ নিয়োগঃ ন্যায়বিচারের মহা যুদ্ধে এসপির অবিচল দৃঢ়তা পার্বতীপুরে চাঁদাবাজির অভিযোগে এনসিপি নেতা তরিকুল আটক ডোমারে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের শাহাদাৎ বার্ষিকী পালিত খানসামায়  শহীদ জিয়াউর রহমানের ৪৪ তম শাহাদাত বার্ষিকী পালিত বোয়ালখালীতে জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহের উদ্বোধন ফুলবাড়ীতে শত বছরের কবরস্থান রক্ষার দাবিতে মানববন্ধন

ফুলবাড়ী মুক্ত দিবস আজ

  • প্রকাশিত: বুধবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০২৪
  • ৪৭ বার শেয়ার হয়েছে

নাইমুর রহমান : দিনাজপুর জেলার ফুলবাড়ী হানাদার মুক্ত দিবস আজ। একাত্তরের আজকের এই দিনে দেশের সুর্য সন্তান মুক্তিযোদ্ধারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে লড়াই করে ফুলবাড়ী থেকে দখলদার পাক বাহিনীকে তাড়িয়ে শত্রু মুক্ত করেন এবং স্বাধীন বাংলাদেশের লাল সবুজের পতাকা উড়িয়েছিলেন।

১৯৭১ সালের মার্চ মাসের শুরু থেকেই যখন পাকিস্তাানি শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের নেতৃত্বে দেশব্যাপী দুর্বার আন্দোলন চলছিল তখন শান্তিশৃংখলা বজায় রেখে বাঙালি ও অবাঙালিদের মধ্যে যেন কোনো প্রকার সংঘাত সৃষ্টি না হয় সেজন্য মার্চের প্রথম সপ্তাহে ফুলবাড়ীতে গঠিত হয় সর্বদলীয় সংগ্রাম পরিষদের কমিটি।

২৪ মার্চ পর্যন্ত ফুলবাড়ীতে পূর্ণ শান্তি বিরাজ করে আসছিল। কিন্তু ২৫ মার্চের গভীর রাতে সারা দেশে দখলদার পাাকবাহিনীর দ্বারা নিরীহ বাঙালিদের হত্যাযজ্ঞের খবর দ্রুত ছড়িয়ে পড়লে, ২৬ মার্চ এই হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদে সর্বদলীয় সংগ্রাম পরিসদ কমিটির উদ্যোগে ফুলবাড়ী শহরে প্রতিবাদ মিছিল বের করা হয়।

স্বাধীনতা যুদ্ধচলাকালিন সময়ের এক পর্যায়ে এপ্রিলের ২তারিখে দখলদার পাকবাহিনী আক্রমণ করে ফুলবাড়ী পুরো নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয় এবং তারা তখন থেকে শুরু করে এখানকার বাঙালিদের ওপর নির্মম অত্যাচার ও নির্যাতন।এ সময় তারা হত্যা,লুটতারাজ ও অগ্নিসংযোগসহ বর্বর নির্যাতন চালায়।

মাতৃভূমিকে দখলদারের কবল হতে মুক্ত করতে তৎকালিন ফুলবাড়ীর মুক্তিকামী যুবকরা যোগ দেন মুক্তিবাহিনীতে।

এপ্রিলের ২ তারিখ পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ফুলবাড়ী আক্রমণ শুরু করে পুরো ফুলবাড়ীকে নিয়ন্ত্রণ করে নেয়।এরপর থেকে শুরু হয় বাঙালিদের ওপর দখলদার বাহিনীর নির্মম অত্যাচার,হত্যা, লুটতরাজ ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা।

দীর্ঘ ৯ মাস পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে পরবর্তী সময়ে পরিকল্পনা অনুযায়ী ফুলবাড়ীকে হানাদারমুক্ত করার জন্য ১৯৭১ সালের ৪ ডিসেম্বর মুক্তিবাহিনী ও ভারতীয় সেনাবাহিনী যৌথভাবে বেতদিঘী,কাজিহাল, এলুয়াড়ী,জলপাইতলী,পানিকাটা, রুদ্রানী,আমড়া ও রানীনগর এলাকার বিভিন্ন সীমান্ত এলাকা দিয়ে প্রবেশ করে দখলদার পাকবাহিনীর বিরুদ্ধে আক্রমণ চালায় মুক্তিকামী সেনারা।

মিত্রবাহিনীর হাতে নিশ্চিত পরাজয় বুঝে পাকসেনারা ফুলবাড়ী শহরে মিত্রবাহিনীর আগমন ঠেকাতে সেই সময় ৪ ডিসেম্বর বিকেলে ফুলবাড়ীর ছোট যমুনা নদীর ওপর নির্মিত লোহার সেতুর পূর্বাংশ ডিনামাইট দিয়ে উড়িয়ে দেয়। সেতুটি কালের সাক্ষী হয়ে আজো দাঁড়িয়ে আছে ফুলবাড়ী পৌর শহর দিয়ে বয়ে যাওয়া ছোট যুমনা নদীর উপর।

১৯৭১ সালের ৪ ডিসেম্বর এই দিনে বাংলার মুক্তিবাহিনী ও ভারতীয় সেনাবাহিনী যৌথভাবে তুমুল সম্মুখ লড়াইয়ে খান সেনাদেরকে হটিয়ে হানাদারমুক্ত করে ফুলবাড়ী নিয়ন্ত্রণে নিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের লাল সবুজের জাতীয় পতাকা উড়িয়ে দেয় বীরমুক্তি সেনারা।তখন থেকেই ৪ ডিসেম্বর ফুলবাড়ী মুক্ত দিবসে হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© All rights reserved © 2019
কারিগরি সহযোগিতায়: জাগো হোষ্টার বিডি