ডোমার প্রতিনিধি :
নীলফামারীর ডোমার উপজেলার ভোগডাবুড়ী ইউনিয়নের মুক্তিরহাটে গ্রামে বালিশ চাপায় বিউটি আক্তার (২২) নামে এক গৃহবধূর মৃত্যু ঘটেছে। এঘটনায় ভুক্তভোগীর স্বামী নাসির হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১৯শে নভেম্বর) রাত আনুমানিক ১১টার দিকে উপজেলার ভোগডাবুড়ী ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের মুক্তিরহাট সাতঘড়িয়া গ্রামে ঘটনাটি ঘটে।
এলাকাবাসীর মাধ্যমে যানাযায়, ২০২০ সালে ইসলামী শরিয়াহ অনুযায়ী একই ওয়ার্ডের পাশ্ববর্তী এলাকার আজিমুল ইসলামের মেয়ে বিউটি আক্তার (২২) সাথে সাতঘরিয়া পাড়ার বেলাল হোসেনের ২য় পুত্র নাসির হোসেনের সাথে বিবাহ হয়। দাম্পত্য জীবনে তাদের চার বছর বয়সী একজন পুত্র সন্তান রয়েছে।
তারা আরও জানায়, দীর্ঘদিন ধরে তাদের দাম্পত্য জীবনে কলহ হচ্ছিল। গত শুক্রবার নাসিরের বড় ভাবী পড়ে গিয়ে তার হাত ভেঙ্গে যায় । মঙ্গলবার নাসির হোসেন তার বড় ভাইয়ের স্ত্রীকে সাথে নিয়ে চিকিৎসার জন্য রংপুরে নিয়ে যায় ও তার চিকিৎসা শেষে রাত্রি বেলা বাড়িতে ফিরে আসে। বাড়িতে আসার পর শয়ন ঘরে তার স্ত্রী বিউটির সাথে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে দুইজনের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। এসময় তাদের ঘরের মধ্যে অন্য কাউকে প্রবেশ করতে নিষেধ করে নাসির। কিছুক্ষণ পর, রাত আনুমানিক সাড়ে ১১টার দিকে বিউটির ভাই শরিফুল ইসলামকে ফোন করে আত্মহত্যায় মৃত্যু হয়েছে বলে খবর দেয় ঘাতক নাসির।
বিউটির ভাই শরিফুল ইসলাম তৎক্ষনাৎ তার এলাকা থেকে ৩/৪ জন লোক নিয়ে নাসিরের বাড়িতে এসে দেখে তার বোনকে বিছানায় শোয়ানো অবস্থায় দেখে। সেসময়ে নাসির ব্যতীত বাড়ির লোকজন কেউ ছিল না। বাড়ির বাকি সদস্যরা পালিয়ে গিয়েছিল বলে জানা যায়।
ঘটনাস্থল থেকে শরিফুল চিলাহাটি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে খবর দিলে চিলাহাটি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের অফিসার ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে বিউটির মরদেহ উদ্ধার সহ নাসিরকে গ্রেপ্তার করে ডোমার থানায় প্রেরণ করেন।
এবিষয়ে মৃত বিউটি বেগমের ভাই শরিফুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার বোনকে নাসির বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করে। আমাকে ফোন দিয়ে আত্মহত্যার কথা বলেছে। আমি তার বাড়িতে গিয়ে দেখলাম এবং বুঝতে পারলাম প্রকৃত অর্থে আমার বোনকে গলা টিপে, শ্বাসরুদ্ধ করে এবং আশেপাশের কেউ যেন কোন শব্দ শুনতে না পারে সেজন্য মুখে বালিশ চাপা দিয়ে ধরেছিল। এব্যাপারে ডোমার থানায় আমরা একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছি।
গ্রেপ্তারকৃত নাসির হোসেন ভোগডাবুড়ী ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের সাতঘরিয়া এলাকার বেলাল হোসেনের ২য় সন্তান।
এবিষয়ে ডোমার থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আরিফুল ইসলাম জানান, মেয়ের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ পেয়েছি। সেই প্রেক্ষিতে ১নং আসামী নাসির হোসেনকে গ্রেপ্তার করে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। ময়নাতদন্তয়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়।
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোঃ আব্দুর রহিম
০১৭৯৬৫১৭৮৭৩,০১৭১২৮৮৪৪০৯
goyendarchokh6@gmail.com